নয়াদিল্লি:  ৫০০ ও হাজারের নোট বাতিলের পর কেন্দ্র বাজারে এনেছে নতুন দু হাজার টাকার নোট। আর সেই নোট বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পিছু পিছু এসেছে নানা গুজব। কখনও বলা হয়েছে নোটের ভেতর লেখার হরফে ভুল আছে। কখনও বলা হয়েছে দুহাজারের নোট জাল করা কঠিন, আবার তারপরেই জানা গিয়েছে জাল দুহাজার টাকার নোট পাওয়া গিয়েছে কর্ণাটকে। এরমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক গ্রাহক নিজে পরীক্ষা করে সকলকে দেখিয়েছেন এই নতুন নোট জল ভিজলে, ভাঁজ হয়ে গেলেও নষ্ট হয় না। এবার কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব শক্তিকান্ত দাস জানিয়ে দিলেন কীভাবে জাল দুহাজার টাকার নোট চিনবেন আমজনতা। অর্থসচিব শক্তিকান্ত দাস এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ইনট্যাগলিও কালির ব্যবহার করা হয়েছে দুহাজার টাকার নোটে। এই বিশেষ ধরনের কালি তুলোর টুকরো দিয়ে মুছলে উঠে যাবে। কিন্তু নোট যদি জাল হয় তাহলে সেই কালির ওপর তুলোর টুকরো দিয়ে ঘষলেও উঠবে না। এভাবেই প্রথম ধাপে আমজনতা বুঝে নিতে পারবেন তাঁদের হাতে দু হাজারের জাল নোট আছে না আসল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব জানিয়েছেন, সাধারণের জন-ধন অ্যাকাউন্টের ওপরও বিশেষ নজর রয়েছে কেন্দ্রের। কারণ, এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চেষ্টা হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার। তিনি গ্রাহকদের আর্জি জানিয়েছেন, কোনওভাবেই যেন তাঁরা তাঁদের জনধন অ্যাকাউন্ট কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করতে না দেন। এছাড়া ৮ থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মোটা অঙ্কের অলঙ্কার কিনলে তাঁরাও চলে আসবেন ইডি-আয়কর দফতরের নজরদারিতে। কেন্দ্রীয় অর্থ সচিবের আশ্বাস, যথেষ্ট সংখ্যক নোট মজুত রয়েছে। ফলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই মানুষের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুধু একটু সময় লাগছে। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, এবার খুচরো নোটের সমস্যা মেটাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র। বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে খুচরো টাকায় প্রণামী পড়ে। এই টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিলে, খুচরো সমস্যার অনেকটা সুরাহা হবে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব জানিয়েছেন, কিছু পণ্য নিয়ে অকারণে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। নুন নিয়েও ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ক্ষেত্রে এরকম কোনও সমস্যা নেই। এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস।