গতকাল রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, ‘আমাদের বলিষ্ঠ এবং উচ্চ বৃদ্ধির অর্থনীতির জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজে নৈতিকতা, অংশীদারিত্ব ও সমানাধিকার চাই। মহাত্মা গাঁধী ও দীনদয়াল উপাধ্যায় যে সমাজ চেয়েছিলেন, সেটা গড়তে হবে।’
জিরো আওয়ারে নয়া রাষ্ট্রপতির এই ভাষণের তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, মহাত্মা গাঁধী ও দীনদয়াল উপাধ্যায়কে এখন এক পংক্তিতে রাখা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, শুধু টেলিভিশন চ্যানেলগুলির সুবিধার জন্য জিরো আওয়ার চলতে পারে না। বিরোধী দলগুলি কেন হট্টগোল করছে সেটা কারও অজানা নয়। তিনি রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে আনন্দ শর্মার বক্তব্য বাদ দেওয়ার দাবি জানান।
জেটলির এই বক্তব্যে কংগ্রেস সাংসদরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘আমি ডেপুটি চেয়ারম্যানকে রেকর্ড থেকে এই মন্তব্য মুছে ফেলার অনুরোধ করব। আমরা কখনও টেলিভিশন ক্যামেরার জন্য কথা বলি না। কারণ, অধিকাংশ চ্যানেলই শাসক দলের বক্তব্য তুলে ধরে। গত তিন বছরে টেলিভিশন চ্যানেলগুলির কোনও স্বাধীনতা নেই। আমি আশা করিনি শাসক দলের নেতা সংসদের আলোচনার প্রতি অসম্মান জানানোর জন্য বিরোধীদের এভাবে হেয় করবেন।’ বিজেপি-কে কটাক্ষ করে গুলাম নবি আরও বলেন, গাঁধীর নামও উল্লেখ করা উচিত হয়নি রাষ্ট্রপতির। হট্টগোলের জেরে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে বাধ্য হন ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন।