মুম্বই:  কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আর তার জেরে কলঙ্কিত হয়েছে আরবিআই-এর স্বাধীন, স্বশাসিত ভাবমূর্তি। নোট বাতিলের পর যেভাবে অর্থমন্ত্রক থেকে আধিকারিক এনে পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণের চেষ্টা হয়েছে, তাতে ধাক্কা খেয়েছে আরবিআই কর্মীদের সম্মানও। আমজনতার কাছে তাঁদের অহেতুক অপদস্থ হতে হয়েছে, শুক্রবার আরবিআই কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনি এক চিঠি দেওয়া হয়েছে আরবিআই গভর্নর ঊর্জিত পটেলকে।

চিঠিতে আরবিআই কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নোট বাতিলের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক প্রবীণ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়। এরফলে আরবিআই কর্মী যাঁরা আট দশক ধরে দক্ষতার সঙ্গে তাঁদের কর্তব্য পালন করেছেন, তা আমজনতার সামনে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। ১৯৩৫ সাল থেকে নিজেদের কাজ যথেষ্ট ভালভাবে সামলিয়েছে আরবিআই কর্মীরা। কোনও দিনই অর্থমন্ত্রকের অহেতুক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রের সাম্প্রতিক নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর সেই পদক্ষেপ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ভাবমূর্তির যা ক্ষতি করেছে, তা আর কোনও দিন ফেরানো যাবে না, দাবি ব্যাঙ্কের কর্মীদের।

তাঁদের মতে এই অহেতুক নজরদারির ফলে অব্যবস্থা আরও বেড়েছে। এই চিঠির কথা আরবিআইয়ের কর্মী সংগঠনের চার প্রধানও স্বীকার করে নিয়েছেন। চিঠির কথা স্বীকার করেছেন অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়ি অ্যাসোসিয়েশনের সমীর ঘোষ, অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সূর্যকান্ত মহাদিক, অল ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের সিএম পালশিল এবং আরবিআই অফিসারস অ্যাসোসিয়েশনের আর.এন ভিস্তা। এই কর্মী সংগঠনগুলোর অন্তর্গত প্রায় ১৮ হাজার কর্মী রয়েছে।

তাঁদের প্রত্যেকের ঊর্জিত পটেলের কাছে আর্জি তিনি যেন অর্থমন্ত্রকের এই অহেতুক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।