কানপুর: কথায় বলে ছাগলে কী না খায়! তা বলে কড়কড়ে গোলাপী নোটও!


বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেজন্য ইঁট কিনতে যাবেন বলে প্যান্টের পকেটে ৬৬ হাজার টাকা রেখেছিলেন উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার সিলুপুর গ্রামের কৃষক সর্বেশ কুমার পাল। দু হাজার টাকার ৩৩ টি নোট ছিল পকেটে।  স্নান করতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ফাঁকেই প্যান্টের পকেট থেকে বের করে দিব্যি চিবোতে শুরু করল সর্বেশেরই পালিত ছাগল। স্নান সেরে ছাগলের দিকে চোখ পড়তেই চক্ষু চড়কগাছ সর্বেশের। মাটিতে পড়ে রয়েছে প্যান্ট। নোট চিবোচ্ছে ছাগলটি। দৌড়ে গিয়ে ছাগলের মুখ থেকে কোনও ক্রমে লালা মাখা, চিবোনো দুটি মাত্র নোট বের করতে পারলেন তিনি। পকেটে হাত দিয়ে বুঝলেন, বাকি সব নোটই গিয়েছে ছাগলের পেটে।
প্রথমটা রাগ হলেও নিজেকে সামলে নেন সর্বেশ। তাঁর কথায়, কী আর করা যাবে। আমার ছাগল আমার কাছে সন্তানের মতো।
ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবেশীরা সর্বেশের বাড়িতে ছুটে আসেন। নোট-খেকো ছাগলটি তখন নির্বিকার। কেউ কেউ তো তার সঙ্গে সেলফিও তুলে নেন।
কোনও কোনও প্রতিবেশী পশু চিকিত্সকের কাছে ছাগলটিকে নিয়ে গিয়ে তাকে বমি করার কোনও ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। ওষুধের প্রভাবে ছাগল যাতে নোটগুলি উগরে দেয়, সেজন্যই এই পরামর্শ।
সর্বেশ জানিয়েছেন,  কেউ কেউ তাঁকে এই সর্বনাশা ছাগল কসাইখানায় বিক্রি করে দিতে বলেন।
এক প্রতিবেশী পরিহাস ছলে বলেন, ছাগলটি গুরুতর অপরাধ করেছে। তাই ওকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
টাকা লোকসানের শোক থাকলেও প্রতিবেশীদের এই পরামর্শ কানে তোলেননি সর্বেশ। তিনি ও তাঁর স্ত্রী বলেছেন, পোষা ছাগলের ওপর এত নিষ্ঠুর হতে পারি কী করে! ও আমাদের সন্তানের মতো।