জম্মু: এবছরের মার্চ মাসেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। বৈষ্ণোদেবী গিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর দেবী দর্শন করা হল না স্ত্রীর। মাঝ রাস্তায় স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, দেহ পাহাড়ের খাদে ছুড়ে ফেলে দিলেন। মহিলার স্বামী চেয়েছিলেন ঘটনাটিকে দুর্ঘটনার মতো করে সাজাতে। তাই রাতের অন্ধকারে দেহটি ফেলে দেন খাদে। রিয়াসি জেলার কাটরা শহরের পুলিশ আজ একথা জানিয়েছে।
মহিলার নাম লক্ষ্ণী গুপ্তা। ২৫ বছরের লক্ষ্ণী নয়াদিল্লির বাসিন্দা। মহিলার দেহ লামবিকেরি এলাকার এক ঝর্নার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃত লক্ষ্ণীর স্বামী শক্তি গুপ্তা অর্ধ কুমারী থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন। কিন্তু থানায় ডায়েরি করতে গিয়ে মৃতের স্বামীর অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের মনে। তখনই থানা থেকে মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা মেয়ে, জামাইয়ের মধ্যে কিছু সমস্যা থাকার কথা স্বীকারও করেন।

এরপরই পুলিশ জেরা শুরু করে লক্ষ্ণীর স্বামীকে। টানা জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা কবুল করেন অভিযুক্ত স্বামী। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।