হায়দরাবাদ মেট্রো রেলে ক্রেন অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন বছর ৩০-এর ললিত কুমার। তাঁর বাড়ি হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলায়। বর্তমানে বালাজীনগরের কুকাতপল্লীতে চার বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি। এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখ থেকে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা
মেসেজ এসে পৌঁছায় কুকাতপল্লী থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর বি এল লক্ষীনারায়ণ রেড্ডির কাছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফোর্স কুমারের বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। ওই ফোর্সই কুমারকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানান, অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন কুমারের। খবর পেয়ে অস্ত্রোপচারের বিল হিসাবে ২০,০০০ টাকা পাঠিয়ে দেন লক্ষীনারায়ণ রেড্ডি। পরদিন ওই হাসপাতালেই অস্ত্রোপচার হয় কুমারের। পরদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।
এই ঘটনার খবর পৌঁছয় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরের কাছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর বি এল লক্ষীনারায়ণ রেড্ডিকে প্রশংসা করে চিঠি পাঠান তিনি। চিঠিতে লেখেন, 'লকডাউনের মতো এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনি কেবল একজন অসুস্থ মানুষকে সাহায্য করেননি, নিজ থেকে ২০,০০০ টাকা ওই ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের জন্য দিয়েছেন। যে সমস্ত মানুষ বর্তমানে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাঁদের কাছে আপনি উদাহরণ তৈরি করেছেন।'
হিমাচল প্রদেশের বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয় ফোন করে সাধুবাদ জানান লক্ষীনারায়ণ রেড্ডিকে। জন্মসূত্রে তিনিও হায়দরাবাদের বাসিন্দ।
কুমারের পরিবার বলে, 'আমরা লক্ষীনারায়ণ রেড্ডির উপকার কখনও ভুলব না। তিনি কার্যত ললিতের জীবন বাঁচিয়েছেন।' হিমাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে হায়দরাবাদ, অনেক ফোন আসছে রেড্ডির কাছে। কোনও ফোন কুমারের শরীরের খবর জানতে, আবার কোনটা নেহাতই প্রশংসা, শুভেচ্ছার।