হায়দরাবাদ: ৩১ জানুয়ারি সুপার ব্লু ব্লাড মুনের রাতে এক শিশুকন্যার গলা কেটে সংস্কার পালন করল হায়দরাবাদের এক দম্পতি। গতকাল তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্তরা হল ট্যাক্সি চালক কেরুকোন্ডা রাজাশেখর ও তার স্ত্রী শ্রীলতা। এক ‘তান্ত্রিকের’ কথা শুনে তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে খবর।

রাজাশেখরের বাড়ি হায়দরাবাদের উপ্পলে। ১ তারিখ তার বাড়ির ছাদে ওই শিশুর কাটা মাথা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ আসে পুলিশে, তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। জানা গিয়েছে, তদন্তের সময় নানারকম গল্প ফেঁদে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে সব কিছু।

শিশুটি পথের বাসিন্দা। বাবা মায়ের পাশে শুয়ে ঘুমনোর সময় তাকে তুলে নিয়ে আসে রাজাশেখর। কালো জাদুর জন্য তার ফিডিং বোতলও নিয়ে আসে সে। এরপর প্রতাপসিঙ্গরমের কাছে মুসি নদীতে নিয়ে গিয়ে তার মাথা কেটে ফেলা হয়। দেহ নদীতে ফেলে দিয়ে পলিথিনের ব্যাগে করে মাথা বাড়ি নিয়ে আসে ওই দম্পতি। তারপর কালো জাদু মেনে সারে ‘ক্ষুদ্র পূজা’।

বসার ঘরে পুজোর বেদিতে শিশুটির কাটা মাথা রেখে স্বামী স্ত্রী পুজোআচ্চা সারে। তারপর তা ছাদে নিয়ে গিয়ে রেখে আসে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে, যাতে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের আলো আর উদিত সূর্যরশ্মি দুই-ই পড়ে তার ওপর।

পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল ওই দম্পতি। কালো জাদু করে এমন কেউ তাদের পরামর্শ দেয়, সুপার ব্লু ব্লাড মুনের রাতে মানুষ খুন করতে। তার জেরে তারা ওই শিশু কন্যার গলা কাটে বলে অভিযোগ।