হায়দরাবাদ: নৃশংস মৃত্যুর ঠিক ১০ দিনের মাথায় ‘বিচার’ পেলেন হায়দরাবাদের ধর্ষিত-মৃত চিকিৎসক। তাঁর খুনের ৪ অভিযুক্তকে আজ ভোরে এনকাউন্টারে গুলি করে মেরেছে পুলিশ। তাদের দাবি, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে তাদের ওপরেই গুলি চালায় ৪ অভিযুক্ত।

২৭ নভেম্বর রাতে শামসাবাদ টোল প্লাজায় অপরাধীদের পাতা ফাঁদে পড়েন ২৫ বছরের পশু চিকিৎসক। পরদিন সকালে এক ফ্লাইওভারের পাশে উদ্ধার হয় তাঁর পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া দেহ। গোটা দেশে শুরু হয় আন্দোলন-বিক্ষোভ, ক্ষুব্ধ মানুষ দাবি করেন, অপরাধীদের তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে। অভিযুক্তদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ, এমনকী সংসদের বাইরেও ধর্না চলে। অভিযুক্তদের জেলের মধ্যে মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়েছে বলে খবর ছড়াতে আগুনে ঘৃতাহুতি হয়। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। এরপর আজ সকালে ৪ অভিযুক্তের এনকাউন্টারের খবর ছড়াতে বহু মানুষ বেজায় খুশি। শাদনগর শহরে, যেখানে এনকাউন্টার হয়েছে, সেখানে ভিড় করা জনতা পুলিশ জিন্দাবাদ স্লোগান তুলেছেন।

মানুষের বক্তব্য, অভিযুক্তদের খতম করে দিয়ে পুলিশ চটজলদি বিচারের ব্যবস্থা করেছে। পুলিশকর্মীদের হাতে রাখি পরিয়েছেন তাঁরা, মাথায় ফুল ছড়িয়েছেন। তাঁদের আরও তৃপ্তি, যেখানে গণধর্ষণ হয়, ঠিক সেখানেই হয়েছে এনকাউন্টার। মৃত তরুণীর পরিবারও ধন্যবাদ জানিয়েছে পুলিশকে, তাদের বিশ্বাস, তাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে অবশেষে।