হায়দরাবাদ:  স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের ধারাবাহিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চরম পথ বেছে নিলেন এক গৃহবধূ। নিজের তিন সন্তানকে কুয়োয় ফেলে নিজেও একই কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই গৃহবধূ।তেলঙ্গানার সিদেমপেট জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।


মৃত গৃহবধূর নাম গোল্লা মানেম্মা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ১৫ বছর আগে কৃষ্ণাইয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মানেম্মার।শুরু থেকেই মান্নেমাকে পণের দাবিতে নির্যাতন করত তাঁর স্বামী, শাশুড়ি বালাম্মা এবং ননদ অলিভেলু। পণের দাবি ছাড়াও তুচ্ছ কারণেও মান্নেমাকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ।

ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে উঠলেও এই নির্যাতন চলতেই থাকে। গত শুক্রবার সামান্য কারণে মান্নেমার সঙ্গে ঝগড়া বেধে যায় স্বামী, শাশুড়ি ও নননের। মান্নেমাকে প্রচণ্ড মারধরও করা হয়।

শনিবার সকালে স্বামী কাজে চলে যাওয়ার পর মান্নেমা দুই কন্যা সিন্ধুজা (১২), শ্রীলতা এবং ছেলে অজয় (৬)-কে বাড়ির কাছেই একটি কুয়োর কাছে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরে নিজেও কুয়োয় ঝাঁপ দেন।

মান্নেমার পরিবারের অবশ্য সন্দেহ, কৃষ্ণাইয়া ও তার মা ও বোনই চারজনকে কুয়োয় ফেলে খুন করেছে। এরপর পুরো ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছে।পুলিশ কৃষ্ণাইয়া, বালাম্মা ও অলিভেলুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে।