২৯ ডিসেম্বর পুরস্কারের কথা ঘোষণা হয়েছে। সেদিন থেকে ফোন ধরে ধরে হাঁফিয়ে উঠেছেন পুলিশ কর্মীরা। দিনে ফোন আসছে গড়ে ৭০টা, যদিও পুরস্কার পেয়েছেন অল্পজনই।
পুলিশ কর্তারা কারণ হিসেবে বলছেন, ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে না ভিখারিদের। ততক্ষণে বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ফলে দেওয়া যাচ্ছে না পুরস্কার, ফোন যিনি করেছেন, তিনিও এ ক্ষেত্রে অনেক সময় পুরস্কারের টাকা নিতে অস্বীকার করছেন।
ভিখারিদের খুঁজে পাওয়া গেলে তাঁদের নিয়ে গিয়ে রাখা হচ্ছে স্থানীয় জেলের মধ্যে আশ্রমে। কিন্তু পুরস্কার পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ভিখারিকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে, বলতে হবে, পুরস্কারের টাকা চাই, তারপর সেই তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছে যাবে পুলিশ আধিকারিকদের কাছে।
এত কিছু কাজকর্ম মিটিয়ে পুলিশ যখন ভিখারি ধরতে পৌঁছচ্ছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই অতটা সময় পর্যন্ত বেশিরভাগ ভিখারিই অপেক্ষা করছেন না। ফলে পুরস্কারের অর্থ আর প্রাপকের মধ্যে ব্যবধান রয়ে যাচ্ছে সেই চায়ের কাপ আর ঠোঁটের মত।