ফেসবুকে উমা লিখেছেন, আমার উবের চালক আজ ভেবেছিল, আমায় বিমানবন্দরে পৌঁছনোর সময় হস্তমৈথুন করা পুরোপুরি স্বাভাবিক। হায়দরাবাদের ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছতেই সে গাড়ির গতি কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা করে দেয়, রিয়ারভিউ মিরর দিয়ে পিছনে তাকায়। মিনিটপাঁচেক পর আমি বুঝতে পারি সে কী করছে। চিৎকার করে ওকে গাড়ি থামাতে বলি- কিন্তু ও স্বমেহন থামায়নি। নির্বিকারভাবে আমাকে জিজ্ঞেস করে, সমস্যাটা কী। অনেক চেঁচামেচির পর অনিচ্ছার সঙ্গে সে গাড়ি থামায়, যতক্ষণ না ওর ছবি তুলে পুলিশে যাওয়ার কথা বলি, ততক্ষণ ও রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল।
উমা ব্যবহার করেছেন গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে বহুল প্রচলিক হ্যাশট্যাগ #মি টু। সারা দুনিয়ার মেয়েরা এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাঁদের ওপর হওয়া যৌন নিগ্রহের কথা বলছেন। উমা বলেছেন, আমার ভাবতে ভয় করছে, এই স্ট্যাটাস দেওয়া কত মেয়ে এমন নোংরা লোকের খপ্পরে পড়েছিলেন... কিন্তু সে কথা জানাতে ভয় পেয়েছেন তাঁরা।
দেখুন তাঁর ফেসবুক পোস্ট
উমা জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ করবেন তিনি। যেভাবে চালকের পরিচয় না জেনেই উবের তাঁদের নিয়োগ করে সেই প্রক্রিয়ারও সমালোচনা করেছেন।
উবের ইন্ডিয়া উমার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চালককে নিষিদ্ধ করেছে তারা।