অভিযোগকারিণীর নাম সুমায়না শরফি। ২০১৫-য় তিনি বিয়ে করেন বেগমপেটের ওয়াইস তালিবকে। বিয়ের ১ মাস পর স্বামীর সঙ্গে দুবাই যান তিনি কিন্তু কিছুদিন পর স্বামী তাঁকে শ্বশুরবাড়ি রেখে ফের কর্মসূত্রে দুবাই চলে যান।
অভিযোগ, স্বামীর অভিভাবিকা হিম্মত খাতুন ওরফে আম্মা জান সুমাইনাকে খাটাতেন বাড়ির পরিচারিকার মত। ভাল করে খেতেও দিতেন না। কদিন পরে তিনি সুমাইনাকে বলেন, তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সেক্স করে তাঁর সন্তানের সারোগেট মা হতে।
এ কথা স্বামীকে জানালে তিনি বলেন, আম্মা যা বলছেন তাই করতে। কিন্তু রাজি হননি সুমাইনা। একটা ঘরে ৬ দিন ধরে তাঁকে আটকে রেখে চলে অত্যাচার। তারপর তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। বাবার সঙ্গে তিনি ফিরে যান লাল্লাগুড়া এলাকায়, নিজের বাড়িতে। মিটমাট করে নিতে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন তিনি কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
কিছুদিন বাদে স্বামীর কাছ থেকে তিন তালাক সম্বলিত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পান সুমাইনা। তাতে লেখা ছিল, এই নে তোর জন্মদিনের উপহার।
সুমাইনার অভিযোগ, তাঁর দুবাইয়ে বাসরত স্বামী তাঁর বোনকেও কয়েক মাস ধরে বন্দি করে রেখেছেন। প্রশাসনের কাছে তাঁর অনুরোধ, যেন তাঁর বোনকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেন তাঁরা।