শ্রীনগর: হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দেওয়ার জন্য গত শুক্রবার বাড়ি ছাড়েন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহম্মদ রফি ভাট (৩৩)। আজ সকালে তিনি বাবা ফৈয়জ আহমেদ ভাটকে শেষবার ফোন করেন। বাবাকে বলা রফির শেষ কথা ছিল, ‘তোমাদের যদি আঘাত করে থাকি তাহলে আমি দুঃখিত। এটাই আমার শেষ ফোন। আমি সর্বশক্তিমানের সঙ্গে দেখা করতে চলেছি।’


সমাজবিদ্যার অধ্যাপক রফি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তিনি জঙ্গিদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। যদিও ফৈয়জ মানতে চাননি, তাঁর ছেলে অস্ত্র হাতে তুলে নেবেন। যদিও শেষপর্যন্ত পুলিশের সন্দেহই ঠিক বলে প্রমাণিত হল। সোপিয়ানের বদগামে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে যে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অন্যতম রফি।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, খতম হওয়া অধ্যাপকের বাবাও ন’য়ের দশকের গোড়ায় জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে তিনি চাইতেন না ছেলে জঙ্গি হোক। ১৮ বছর বয়সে রফি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যেতে গিয়ে ধরা পড়েন। এরপর থেকেই তাঁর উপর কড়া নজর রাখতেন ফৈয়জ। তিনি ছেলেকে সমাজবিদ্যায় পিএইচডি করান। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আজ সকালে রফি বাবাকে ফোন করার পরেই পুলিশ খবর পেয়ে যায়। তিনি যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেজন্য তাঁর বাবা, মা, বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু যাওয়ার পথেই খবর আসে, সংঘর্ষে রফির মৃত্যু হয়েছে।