কানপুর: ভোর তিনটেয় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কেটে গেছে বেশ কয়েক ঘণ্টা। তখনও দুর্ঘটনাস্থলে পাগলের মত বাবাকে খুঁজে চলেছেন বছর ২০-র মেয়েটি। ইনদওরের রুবি গুপ্তর জীবন ভোররাতের ওই দুঃস্বপ্ন আচমকা বদলে দিয়েছে।

পয়লা ডিসেম্বর রুবির বিয়ে। সে জন্য দুই বোন, দুই ভাই ও বাবার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে মাউ এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এক পারিবারিক বন্ধুও। কিন্তু শেষরাতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে যখন ঘুম ভাঙে, তখন চতুর্দিকে মৃত্যু আর আর্তনাদ। ভাইবোনদের রুবি খুঁজে পেয়েছেন। পাচ্ছেন না শুধু বাবা রামপ্রসাদ গুপ্তকে।

দুর্ঘটনায় হাতের হাড়ে চিড় ধরেছে রুবির। কিন্তু সেদিকে নজর দেওয়ার সময় কোথায়। চার ভাইবোনের বড় দিদি প্রাণপণে খুঁজে চলেছেন হারিয়ে যাওয়া বাবাকে। অনেকে তাঁকে বলেছেন, হাসপাতাল আর মর্গে খুঁজে দেখতে। কিন্তু বিভ্রমের মধ্যে থাকা সদ্য তরুণী বুঝতে পারছেন না কী করবেন।

বিয়েটা কী হবে শেষ পর্যন্ত? জানেন না রুবি। এ নিয়ে ভাবার সময়ও নেই। বিয়ের জামাকাপড়, গয়নাগাটি-সব হারিয়ে গিয়েছে ডামাডোলে। কিন্তু তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই তাঁর। লাইনচ্যুত ট্রেনের ভাঙাচোরা ১৪টি কামরার কাছে রুবি বারবার ফিরে যাচ্ছেন, চলছে জন্মদাতার সন্ধান।