প্রসঙ্গত, নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্কের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট যেখানে বড় পরিমাণের টাকা জমা পড়েছে খতিয়ে দেখছিলেন আয়কর আধিকারিকরা। তখনই তাঁদের নজরে আসে হায়দরাবাদের উবের চালকের এই অ্যাকাউন্টটি। উবের চালকের অ্যাকাউন্টটি সেস্ট ব্যাঙ্ক অফ হায়দরাবাদের অন্তর্গত। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পুরনো নোটে সাত কোটি জমা পড়ে ওই অ্যাকাউন্টে। নোট বাতিলের আগে উবের চালকের ওই অ্যাকাউন্টটি অব্যবহৃত ছিল।
সাত কোটি জমা পড়ার পর, ধীরে ধীরে ওই টাকা এক সোনার ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপরই ওই উবের চালককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর আধিকারিকরা। যদিও তিনি ওই টাকা কোথা থেকে পেয়েছে এবং পরে কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেব্যাপারে সঠিক কোনও জবাব দিতে পারেননি।
এরপর আয়কর আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে ওই চালকের দুই সহযোগী ওই টাকা চালকের অ্যাকাউন্টে জমা করেন।এরপর ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আয়কর আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ওই দুই ব্যক্তি সাত কোটির ওপর কর দিতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্পের আওতায় একজনকে সাড়ে তিন কোটি টাকা কর দিতে হবে, এবং মূল অর্থের ২৫ শতাংশ ওই প্রকল্পে জমা রাখতে হবে। এবং সেই অর্থ আগামী চার বছরের জন্যে কেউ তুলতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না। বিনা সুদে ওই প্রকল্পের আওতায় ওই টাকা পড়ে থাকবে।