চেন্নাই:  নোট বাতিলের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এবং বহু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের বাড়িতে গত একমাসে আচমকা হানা দিয়েছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। গত সপ্তাহেই ২১ তারিখ ভোরে গোপন সূত্র থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর তত্কালীন মুখ্যসচিবের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর আধিকারিকের একটি দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যসচিব রামামোহনা রাও। তাঁর দাবি এটা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী কাজ, সংবিধানের অপমান, এবং তিনি এখনও সে রাজ্যেরই মুখ্যসচিব। তিনি জানান তিনি এখনও পর্যন্ত তাঁর অফিস ত্যাগ করেননি।


প্রসঙ্গত, সেদিন রামামোহন রাওয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার নতুন নোট ও ৫ কেজি সোনা পাওয়া যায়। এছাড়া তল্লাশির পরের দিনই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হিসেবে নিযুক্ত করা হয় গিরীজা বৈদ্যনাথনকে।

রামামোহন রাওয়ের দাবি, তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সামান্য কিছু সোনা, রুপো এবং কয়েক লক্ষ টাকাই পেয়েছে আয়কর আধিকারিকেরা। তাঁর দাবি এমনকি আয়কর আধিকারিকদের সার্চ ওয়ারেন্টে তাঁর নাম পর্যন্ত ছিল না। অথচ তারপরও আয়কর আধিকারিকেরা প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বাড়িতে ঢুকে অভিযান চালায়, এবং দাবি করেন, তাঁরা বহু গোপন তথ্য উদ্ধার করেছেন। একরকম তাঁকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল, অভিযোগ রামা মোহন রাওয়ের।
রাওয়ের অভিযোগ তাঁর জীবন সংশয় রয়েছে, এবং কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে এই হেনস্থা করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে এমন ঘটনা কখনওই ঘটত না।

সেদিন সিআরপিএফ-এর একটি দল রামা মোহন রাওয়ের বাড়ি ঢুকেছিলেন বন্দুক নিয়ে, তল্লাশি অভিযান চালানোও হয় বন্দুকের সামনে দাঁড় করিয়ে। তাঁর প্রশ্ন কোনও রাজ্যের উচ্চপদাধিকারী ব্যক্তির কী এধরনের ব্যবহার প্রাপ্য। তবে এই ঘটনায় রামা মোহন রাও তাঁর সরকারের থেকে তেমন সমর্থন না পেলেও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে প্রকাশ্যে সমর্থন পেয়েছেন।