১৯৭৫-এর ২৫ জুন দেশে ইমার্জেন্সি জারি হয়। তার কিছুদিন বাদে ১৫ আগস্ট মুক্তি পায় ব্লকবাস্টার ছবি 'শোলে'। হেমা ছাড়াও যে কালজয়ী ছবিতে আছেন অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, জয়া বচ্চন, আশরানির মতো কলাকুশলীরা।
জরুরি অবস্থার ৪২-তম পূর্তির এক অনুষ্ঠানে বর্তমান মথুরার বিজেপি সাংসদ বলেছেন, ছবিটি বিপুল সংখ্যক দর্শক টানত। তখন ইন্দিরা গাঁধীর বিরোধিতা করায় রাজনৈতিক নেতাদের একে একে গ্রেফতার করা হচ্ছিল। তাই জরুরি অবস্থার সমালোচনা করা বিরোধী নেতারা যেখানে যেখানে 'শোলে' দেখানো হত, সেইসব ভিড়েঠাসা হলে পুলিশের নজর এড়াতে আশ্রয় নিতেন। তাঁদের খোঁজে হলের ভিতরে ঢুকতেই পারত না পুলিশ।
হেমার সংযোজন, সেদিন যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমারও সামান্য অবদান ছিল।
জরুরি অবস্থাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দেওয়া হেমা বলেন, সেদিনের কংগ্রেস সরকার রাজনৈতিক নেতা ও আমজনতা, উভয়ের প্রতিই নিষ্ঠুর আচরণ করেছিল। সেজন্যই আজ ওদের এমন দুর্দশা।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল বলেন, জরুরি অবস্থার দিনগুলি ছিল গণতন্ত্রের সবচেয়ে অন্ধকার পর্ব। তবে বহু মানুষ জেল ভেঙে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে জরুরি অবস্থার বিরোধী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা মহান।