প্রসঙ্গত, সমাজসেবী রাহুল ঈশ্বরের সাহায্যে মেয়েটি সাহায্যের জন্যে আবেদন করেছেন। তরুণীটি ভিডিওতে বলেছেন, আমাকে আমার বাবা-মায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। না হলে যেকোনও দিন তাঁরা আমাকে খুন করবে। মেয়েটির বাবার তাঁর ওপর মারাত্মক চটে রয়েছেন। তাঁকে দেখলেই লাথি, কিল, চড়, ঘুষি মারছেন।
হাদিয়া, পেশায় হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সক, গত বছর ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে শাফিন জাহানের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। এদিকে এরপরই মেয়েটির বাবা গিয়ে কেরল হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, শাফিনের সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে। এবং তাঁর মেয়েকে জোর করে ইসলাম ধর্মে রুপান্তর করে বিয়ে করেছেন শাফিন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট এনআইএ-কে নির্দেশ দেয়, এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে লভ জিহাদের সম্পর্ক রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখতে। এমনকি কেরল হাইকোর্টের কাছে দেশের শীর্ষ আদালত জানতে চায়, দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে বিয়ে হলে, সেখানে আদালত কীভাবে নাক গলিয়ে বিয়ে নাকচ করে দেয়।
এর আগে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল এই হাদিয়া। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর কী এভাবেই দিন কাটানো উচিত। হাদিয়ার অভিযোগ কেরল হাইকোর্ট তাঁর বিয়েটি নাকচ করে দেওয়ার পর থেকে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেন না তাঁর বাবা। বাড়ির বাইরে সর্বক্ষণ একজন পুলিশ থাকে। তিনি কাউকে ভালবেসে বিয়ে করলে, কীভাবে তাতে বাইরের এতজন লোক নাক গলাতে পারে, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।