মেন্দিপাথর (মেঘালয়): পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছেন, 'মোদীজিকে অনুরোধ করছি যে, এরপর যখন আবার বিদেশ সফরে যাবেন তখন অন্য মোদীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন'।
উল্লেখ্য, পিএনবি জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার পর এখনও পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। গতকাল কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও পিএবি জালিয়াতি নিয়ে নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পিএনবি-র সাড়ে এগারো হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার আগেই দেশ ছেড়েছেন অভিযুক্ত কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী, তাঁর মামা মেহুল চোসকি ও পরিবারের অন্যান্যরা। নীরব মোদী এখন কোথায় রয়েছেন, তা জানা যায়নি।
সরকারের পক্ষ থেকে নীরবদের দেশে ফিরিয়ে এনে টাকা উশুলের কথা বলা হলেও তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। বিরোধীরা সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধীদের হাতে হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক কনফারেন্স চলাকালে ভারতীয় উদ্যোগপতিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তোলা ছবিতে নীরব মোদীর উপস্থিতি। সেই ছবি নিয়েও এর আগে মোদীকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল।
মেঘালয়ে ভোটের প্রচারে এসে রাহুল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীদের মতো ঋণখেলাপিদের দেশ থেকে পালাতে দিয়ে বিজেপি সরকারই সক্রিয়ভাবে দুর্নীতিতে অংশ নিয়েছে। রাহুল বলেছেন, 'বিজয় মাল্য ও নীরব মোদীর কেলেঙ্কারি থেকেই স্পষ্ট এই সরকার দুর্নীতি দূর করতে তো পারবেই না, বরং দুর্নীতিতে সক্রিয়ভাবে যোগ দিচ্ছে'।
এরপরই রাহুল কটাক্ষ করে বলেন, 'আমাদের সকলের পক্ষ থেকে মোদীজি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী)-কে এবার আবার বিদেশ সফরে গেলে অন্য মোদীকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করছি। আমাদের কষ্টার্জিত টাকা দেশে ফেরত এল আমরা কৃতজ্ঞ থাকব'।
রাহুল আরও বলেছেন, আমি জানি, 'বিজেপির প্রচুর টাকা রয়েছে। কারণ, দেশের বেশ কিছু ধনীতম ব্যক্তি বিজেপির সমর্থক। ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করে যাঁরা পালিয়েছেন, তাঁরাও সম্ভবত বিজেপির সমর্থক'।