নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন, এটাই নরেন্দ্র মোদীর শক্তি। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় এমন মন্তব্য করলেন মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমান সঙ্কট থেকে কেউ যদি আমাদের উদ্ধার করতে পারেন, তিনি নরেন্দ্র মোদী। তিনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন, দেশ তা-ই সমর্থন করবে। জনতার রায় তাঁর সঙ্গে রয়েছে। ওটাই তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। জোর দিয়েই কথাটা বলছি, হয়তো আমায় এজন্য সমালোচনাও শুনতে হবে।


এখানেই থামেননি পিডিপি নেত্রী, এও বলেন, দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা, অস্থিরতার মধ্যেই পাকিস্তান গিয়ে নিজের দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিংহের নাম না করে বলেন, ওনার আগের প্রধানমন্ত্রীও পাকিস্তান যেতে চেয়েছিলেন, সেখানে ফেলে আসা বাড়ি দেখার ইচ্ছা ছিল ওনার। কিন্তু যাওয়ার সাহস হয়নি। উনিও হয়তো দু দেশের বিবাদ ঘুচিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করতেন, তবে সাহসে কুলোয়নি। কিন্তু মোদীর লাহোর সফর তাঁর সাহসিকতার প্রতিফলন।

কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান গণবিক্ষোভ সামলাতে হচ্ছে মেহবুবা সরকারকে, যার শরিক বিজেপিও। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, তাঁর প্রয়াত পিতা মুফতি মহম্মদ সইদের শাসনকালে কেন্দ্রের পূর্বতন এনডিএ সরকার যে নীতির সূচনা করেছিল, তা প্রাক্তন ইউপিএ সরকার এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, অসন্তোষ থেকেই কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিন এখানে একটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এহেন অভিমত জানান মেহবুবা।
২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে 'শান্তির অধ্যায়ের' সূচনা করায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি সইদকে কৃতিত্ব দেন মেহবুবা।