এর আগে বীরাপ্পা মইলি দলের অবস্থানের উল্টো পথে গিয়ে বলেছিলেন, ইভিএম ছেড়ে ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়া পিছনে হাঁটা হবে। তখন কংগ্রেস তড়িঘড়ি এ কথা বলে সামাল দেয়, যে ওটা মইলির ব্যক্তিগত মত, ইভিএমে যে গন্ডগোল আছে সে ব্যাপারে গোটা দল একমত। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে ইভিএম হ্যাক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে 'প্রমাণ' তুলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
কিন্তু দলের অবস্থানের ধারে কাছে না ঘেঁষে ক্যাপ্টেন অমরিন্দরও স্পষ্ট করে দিলেন, ইভিএম হ্যাক করা নিয়ে এই হইচই তিনি ভাল চোখে দেখছেন না। গত ৫ রাজ্যের ভোটে শুধু পঞ্জাবেই জিতে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। সে প্রসঙ্গ তুলে তাঁর সোজাসাপটা মন্তব্য, ইভিএমে যদি গড়বড় করা যেত, আমি এখানে থাকতাম না। থাকত অকালিরা।
উত্তরপ্রদেশ ভোটে কার্যত ধুয়ে মুছে যাওয়ার পর প্রথম ইভিএম প্রসঙ্গটি তোলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। দ্রুত তা লুফে নেয় আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে জয় পাওয়ায় এ নিয়ে মুখ খুলতে প্রথমে দোনামোনা করলেও কংগ্রেসও শেষমেষ নাম লেখায় ইভিএম বিরোধীদের দলে। কিন্তু দলের দুই প্রবীণ নেতা ইভিএম হ্যাকিংয়ের তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়ায় তাদের অবস্থানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।