উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার জীবন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
এই রায়ের পর সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, তারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার পক্ষেই ছিল। এই রায়কে আদৌ সরকারের কাছে ধাক্কা বলে মানতে চাননি আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দাবি করেছেন, তাঁরা ব্যক্তিপরিসরের অধিকারের পক্ষেই ছিলেন।
রোহতগি বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান গুলিয়ে ফেলা উচিত ছিল না। তিনি বলেছেন, ওই রায় একটা ‘অসন্তোষজনক সমাধান’। কারণ, গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার ছিল সংসদের। কিন্তু এক্ষেত্রে সংসদের কাজে হস্তক্ষেপ করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নয় সদস্যের বেঞ্চ গঠিত হওয়ার আগে গত জুন মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
রোহতগি বলেছেন, তিনি যদি এখনও অ্যাটর্নি জেনারেল থাকতেন তাহলে মেনে নিতেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সরকারের হার হয়েছে।
রোহতগি বলেছেন, সরকার মামলায় জিততে পারেনি, এটাই বাস্তব। তিনি বলেছেন, ১৯৫৪-তে আট বিচারপতির বেঞ্চ রায় দিয়েছিল যে, গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার নয়। সেই রায় বদলে গিয়েছে। আধার সম্পর্কেও কোনও সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। কাজেই সরকারের জয়ের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।