মিছিলের দিন পড়ুয়ারা শহরে জারি নিষেধাজ্ঞামূলক নির্দেশিকা ভেঙেছিলেন কিনা, সোশাল মিডিয়ায় আপত্তিকর বিষয়বস্তু পোস্ট করেছিলেন কিনা, তাও তদন্ত করে দেখবে প্যানেল।
১৯৭৯-এ ফৈয়াজ ওই কবিতা লিখেছিলেন সেনা শাসক জিয়া-উল-হকের প্রসঙ্গে এবং তা ছিল পাকিস্তানে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। ফৈয়াজ বামপন্থী ও নাস্তিক। বিপ্লবাত্মক লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি এবং তাঁকে বেশ কয়েক বছর জেলে কাটাতে হয়েছিল।
গত ১৭ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের সমর্থনে আইআইটি-কানপুরের পড়ুয়ারা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। ওই মিছিলের সময় তাঁরা ফৈয়াজের ওই কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন।
আইআইটি-র ডেপুটি ডিরেক্টর মনীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, ভিডিওতে পড়ুয়াদের ফৈয়াজের কবিতা আবৃত্তি করতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ছয় সদস্যের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। প্যানেল পুরো ঘটনার তদন্ত করবে। কয়েকজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং অন্যান্য ছুটি থেকে ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আইআইটি-র এক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, জামিয়ার পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর মিছিলে পড়ুয়ারা ভারত-বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। কবিতার দুটি পংক্তির ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই পংক্তি দুটি হল, ‘যখন সমস্ত মূর্তি সরে যাবে, তখন আল্লাহর নাম রয়ে যাবে’।
ওই শিক্ষকের দাবি, মিছিলের আয়োজক ও মূলচক্রীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। ওই অধ্যাপকের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্দে অভিযোগপত্রে আরও ১৫ জন পড়ুয়া স্বাক্ষর করেছেন।
অন্যদিকে, আইআইটি পড়ুয়ারা বলেছেন, যে শিক্ষক অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি সাম্প্রদায়িক বিষয়বস্তু পোস্ট করার জন্য সোশাল নেট ওয়ার্কিং সাইটে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আইআইটি কানপুর স্টুডেন্ট মিডিয়া পোর্টালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে পড়ুয়া প্রতিবাদের দিন কী হয়েছিল, তাঁদের ধ্বনিগুলিকে কীভাবে সাম্প্রদায়িক রূপ ও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, জামিয়ার পড়ুয়াদের ওপর পুলিশের দমননীতির প্রসঙ্গে তাঁরা ফৈয়াজের কবিতার কয়েকটি পংক্তি আবৃত্তি করেছিলেন।