নয়াদিল্লি: ইমরান খান পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেও নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না ভারতীয় রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন আমলা ও সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, ইমরানকে সমর্থন করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত ভারতের বিরোধিতা করে চলেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদেও মদত দিচ্ছে পাক সেনা। তাই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ক্ষমতায় এলেও ভারতের প্রতি পাকিস্তানের মনোভাব বদলাবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


ইসলামাবাদে ভারতের প্রাক্তন হাই কমিশনার জি পার্থসারথী বলেছেন, ‘ইমরান খান সেনাবাহিনীর লোক। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যেটা করতে বলবে সেটাই করবেন তিনি।’ একই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিংহের। তিনিও মনে করছেন, ‘সেনাবাহিনী ইমরানকে সমর্থন করায় তাঁর নেতৃত্বে ভারতের প্রতি পাকিস্তানের নীতি বদল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’ অপর এক প্রাক্তন আমলা কে সি সিংহ বলেছেন, ‘ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা যাবে না। তিনি জোটসঙ্গী হিসেবে কোন দলকে বেছে নিচ্ছেন সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। সরকার কীভাবে গঠন করা হচ্ছে, সেটার উপর এটি নির্ভর করবে।’

পাকিস্তানে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আজ প্রথমবার মুখ খুলে ইমরান জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান তিনি। তবে নয়াদিল্লি বলে আসছে, যে কোনও সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগে পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কপূর বলেছেন, ‘ওরা (পাকিস্তান) ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাবে। ওরা জম্মু ও কাশ্মীরে অস্থিরতা তৈরি করে যাবে। আমার মনে হয় না দু’দেশের সম্পর্কে উন্নতি হবে।’

রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল সচিন চতুর্বেদী অবশ্য আশাবাদী, ভারতের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ার সাহস দেখাবেন ইমরান। সচিন বলেছেন, ‘এটা পাকিস্তানের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থেই হবে।’