যে গাছটিকে পুজো করা হচ্ছে, সেটি বছরখানেক আগে একটি বটগাছ থেকে অঙ্কুরিত হয়। হাসপাতালের ক্যান্টিনের এক কর্মী বলেছেন, ‘পিপুল গাছের সঙ্গে ঈশ্বরের যোগ রয়েছে। একটা অঙ্কুর থেকে আমাদের চোখের সামনে গাছটি বড় হয়ে উঠেছে। রোজ বহু মানুষ গাছটিকে পুজো করেন।’
স্থানীয় এক মন্দিরের পুরোহিত বাসুদেও চৌধুরী বলেছেন, ‘আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের চোখে পিপুল গাছটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, গাছটির জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা আছে।’
প্রভু কুমার নামে এক যুবক বলেছেন, ‘জুলাই মাসে আমার চার বছরের ভাইঝি রাগিনীর এনসেফেলাইটিস হয়েছে বলে সন্দেহ করেন চিকিৎসকরা। ও ১৮ দিন এই হাসপাতালে ভর্তি ছিল। শেষপর্যন্ত জানা যায়, ওর এনসেফেলাইটিস হয়নি। ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি গাছটিকে পুজো করছি। আমাদের বিশ্বাস, গাছটির বিশেষ ক্ষমতার জন্যই রাগিনী রোগমুক্ত হয়েছে।’