কানপুর: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে পুলিশ হেফাজতে এক দলিত যুবকের মৃত্যু। এই ঘটনায় ওই থানার ১৪ জন পুলিশ কর্মীকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।খুনের মামলাও রুজু হয়েছে। জানা গেছে, এলাকায় একটি চুরির ঘটনায় কমল বাল্মিকী নামে ২৫ বছরের ওই দলিত যুবককে জেরার জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে রাজু মিস্ত্রি নামে আরও একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল সকালে পরিবারের লোকজনকে কমলের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। থানার মধ্যে কমলের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।


পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে কমলের। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি।  পরিবারের অভিযোগ, কমলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য অন্য নামে পাঠানো হয়। পুলিশ পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে বলেও তাঁদের অভিযোগ।

স্থানীয় পুলিশের দাবি, কমল আত্মহত্যা করেছেন।

কানপুর পুলিশের পদস্থ আধিকারিক শলভ মাথুর জানিয়েছেন, কমলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। থানার সব পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।এই ঘটনায় কোনও পুলিশ কর্মী জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজু মিস্ত্রিও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বাল্মিকী সম্প্রদায়ের লোকজন কানপুর-লখনউ সড়ক অবরোধ করে এবং থানা লক্ষ্য করে ইঁটপাটকেল ছোঁড়া হয়।পদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজ্যের অখিলেশ সিংহ সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি-কংগ্রেস ও বিএসপি-র আক্রমণের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টি।

গুজরাতের উনায় দলিতদের ওপর হামলার ঘটনা ঘিরে এমনিতেই ক্ষুব্ধ দলিত সম্প্রদায়। সেই ক্ষোভে নয়া মাত্রা যোগ করতে পারে এই ঘটনা। উত্তরপ্রদেশে ভোটারদের ২৬ শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের। কমলের মৃত্যুর ঘটনায় তড়িঘড়ি পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা অখিলেশ সিংহ সরকার করছে বলে মনে করা হচ্ছে।