মুম্বই: জন্মদিনে এক সামান্য মহিলা শ্রমিকের পাঠানো ১০১ টাকার উপহারে আপ্লুত দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ৪৯-এ পা দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যাতে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাবশতঃ ওই উপহার পাঠানোর কথা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান হিসাবে উপহারটি পাঠিয়েছেন জনৈক রেনুকা গোন্ধালি। তিনি রাজ্যের আহমেদনগরের বাসিন্দা। দিনমজুর।



ফঢ়নবিশকে হাতে লেখা চিঠিতে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রেনুকা। রেনুকার অসুস্থ ভাগ্নের চিকিত্সায় আর্থিক সাহায্য মঞ্জুর করায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। ৫ বছরের ভাগ্নের চিকিত্সার জন্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছিলেন ফঢ়নবিশ। সম্পূর্ণ সেরে ওঠে সে। সেকথা ভোলেননি রেনুকা।
বেদান্ত ভাগবত পাওয়ার নামে রেনুকার সেই ভাগ্নের গত বছর গলব্লাডার ক্যান্সার হয়েছিল। তার বাবা-মার সাধ্য ছিল না ব্যয়বহুল চিকিত্সা করানোর। রেনুকা ভাগ্যে থাকলে কাজ হতে পারে, স্রেফ এটা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রীকে একদিন এসএমএস পাঠিয়ে বেদান্তের চিকিত্সার খরচের অর্থ মঞ্জুর করার প্রার্থনা জানান। বার্তা পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফঢ়নবিশ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১.৯০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেন তার চিকিত্সার জন্য।
চিঠিতে পুরো বিষয়টি উল্লেখ করেছেন রেনুকা। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের জোরেই মুম্বইয়ের এমআরসিসি চিল্ডরেন হসপিটালে চিকিত্সা করিয়ে পুরোপুরি সেরে ওঠে বেদান্ত। রেনুকা লিখেছেন, সিএম সাহেব, আপনি আমার পাঠানো সেই এসএমএসকে জরুরি ভিত্তিতে গুরুত্ব দিয়ে আমার ভাইয়ের ছেলের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রার্থনা করব, আপনি অন্য অসহায় মানুষেরও এরকম সেবা করবেন। আমি নিজে থেকে আপনাকে এই ক্ষুদ্র উপহার পাঠালাম। ঈশ্বর, আপনাকে দীর্ঘ জীবন দিন। দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়া উচিত আপনাকে।
রেনুকার উপহারে অভিভূত ফঢ়নবিশ ট্যুইট করেছেন, রেনুকা গোন্ধালি আমায় টেক্সট বার্তা পাঠিয়েছিলেন। বেদান্ত পাওয়ারের চিকিত্সার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১.৯০ লক্ষ টাকা পান। এটি তিনি মনে রেখেছেন, আমায় আজ একটি চিঠি পাঠিয়ে নিজের আয় থেকে ১০১
টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দানের মতো এমন একটা কাজ করেছেন, যা ভোলার নয়।