কার্নালে বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে। এই বিয়েকে অভিনব বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ, বর কোনও দামী সাজানো গাড়িতে নয়, বিয়ে করতে এলেন কৃষকদের প্রধান যান ট্রাক্টরে চড়ে। বর বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মহিলারা মঙ্গলগীত তো গাইলেনই, সেইসঙ্গে কৃষক ঐক্যের স্লোগানও দিলেন।
বর ও কনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে সরকারকে শুভবুদ্ধি প্রদানের প্রার্থনাও জানানো হয়েছে, যাতে কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। বিলাসবহুল গাড়ি বাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল, তৈরি ছিল ঘোড়াও। কিন্তু বর চড়ে বসলেন ট্রাক্টরে। বরযাত্রীরাও ট্রাক্টরে চেপেই রওনা দেন।
বর ঘোষণাও করে দিলেন, বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে চলতি আন্দোলনে যোগ দেবেন। বিয়েতে যে উপহার পাবেন, তা কৃষকদের জন্য দান করবেন।
পাত্র সুমিত ইঞ্জিনিয়ার তথা ব্যবসায়ী। পানিপতের সৈনিক পরিবারের মেয়ে লিপিতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হল। সুমিত বলেছেন, তিনি নিজে ইঞ্জিনিয়ার হলেও তাঁর পরিবার কৃষক।
সুমিতের এই পদক্ষেপে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও মামা সহ পরিবারের লোকজন।
উল্লেখ্য, গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীত দিল্লিতে আন্দোলন উঠিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও তাতে যোগ দেন। দিল্লি পুলিশ সীমানা আটকে দেওয়ায় এই মুহূর্তে দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় হাজার হাজার কৃষক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে আন্দোলনকারীদের। সেই আলোচনায় এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরইমধ্যে আগামী ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।