হাথরাস: একটি ভিডিও। সেখানে একটি তরুণীকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে শোনা গিয়েছে, ‘আমার বাবা, আমার ভাই আমাকে খুন করতে চায়, সেজন্যই তারা আমাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। আমার জীবন বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে’।
ভিডিওটি দেখে মনে হয়, চলন্ত ট্রেনের শৌচাগারে সেটি রেকর্ড করা হয়েছে। মাউথপিস একেবারে মুখের কাছে নিয়ে তরুণী বলছেন, ‘আমার যদি কিছু হয়,তাহলে ওই লোকগুলো দায়ী হবে। আমি ইমরানকে বিয়ে করতে চাই’।
গত মঙ্গলবার ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে ২৬ বছরের সোনির মৃত্যু হয়েছে।
অনলাইনে ভিডিও ক্লিপটি দেখে পুলিশ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সোনির গ্রামের বাড়িচে যায়। ওই ভিডিওর ভিত্তি একটি এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশ। এফআইআরে সোনির পরিবারের ছয় সদস্য- তাঁর বাবা-মা ও চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই চারজনই পলাতক।


কবর থেকে সোনির মৃতদেহ তোলা হয়।কিন্তু তাঁর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত থেকেও স্পষ্ট হয়নি, কীভাবে সোনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহের নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে বাড়িতে এসেছিলেন সোনি। কিন্তু গত শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোনি মারা গিয়েছে। কী কারণে মারা গিয়েছে, তা অবশ্য বলেনি পরিবারের লোকজন। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। প্রতিবেশী মহম্মদ শাহিদ এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশের একটি দল মুম্বইতে ভিডিওতে উল্লিখিত ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য গিয়েছে। হাথরাসের এক পদস্থ পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই ভিডিওকে এফআইআর হিসেবে গন্য করে ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনের শৌচাগারে কেউ একজন ওই ভিডিও তুলেছিলেন। তবে তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।