নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর প্রভাব পড়তে চলেছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনেও। লালকেল্লায় চিরাচরিত উৎসবের আবহও যেন কিছুটা ম্লান। কাটছাঁট করা হচ্ছে অনুষ্ঠানে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেমন হতে চলেছে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস পালন, দেখে নেওয়া যাক:

  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করবে সশস্ত্র বাহিনী ও দিল্লি পুলিশ। তারপর জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে। তারপর হবে ২১টি গান স্যালুট। এরপর প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তারপর সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত। তেরঙা বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

  • সংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার লালকেল্লার অনুষ্ঠানে কোনও স্কুল পড়ুয়া থাকছে না। শুধু এনসিসি সদস্যরা থাকবে।

  • অন্যান্য বছরের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ ভিভিআইপি উপস্থিত থাকবেন। গত বছরেও প্রায় ১০ হাজার অতিথি সমাগম হয়েছিল লালকেল্লার অনুষ্ঠানে।

  • সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোরভাবে মেনে চলা যায় এমন বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার।

  • লালকেল্লার মঞ্চের দুপাশে উঁচু সারিতে প্রায় ৯০০ ভিভিআইপি বসতেন। এবার সকলকেই বসতে হবে নীচের সারিতে। আর ভিভিআইপিদের সংখ্যাটা দাঁড়াবে বড় জোর ১০০।

  • দেড় হাজার করোনা জয়ী অনুষ্ঠানে থাকবেন। তার মধ্যে ৫০০ জন স্থানীয় পুলিশের। বাকি ১০০০ জন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের।

  • পুলিশ আধিকারিকেরা পিপিই কিট পরে থাকতে পারেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যাবেন যাঁরা, এই মাসের গোড়া থেকে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে খবর।