নয়াদিল্লি: ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাকাল্লে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ। সন্ধে সাতটা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ রাষ্ট্রপতির। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, স্বাধীন ভারতের নাগরিক হিসেবে যুবকদের বিশেষভাবে গর্বিত হওয়া উচিত।

চিন-পাকিস্তানের নাম না করে কড়া বার্তা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেছেন, ‘অশান্তি তৈরির চেষ্টা হলে জবাব দেবে ভারত।‘আগ্রাসন নীতিতে অনড় প্রতিবেশী দেশ। লাদাখে ভারতীয় সেনা বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে।’
তিনি বলেছেন, সমগ্র বিশ্ব আজ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হাজির হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমন একটা সময়ে ভারতের প্রতিবেশী দেশ তাদের সম্প্রসারণবাদী গতিবিধি চালাকির সঙ্গে চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। দেশের সীমানা রক্ষা করে গিয়ে দেশের বীর জওয়ানরা আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারতমাতার এই সুসন্তানরা দেশের গৌরবের জন্যই জীবন ধারন করেছেন এবং দেশের জন্যই তার বলিদান দিয়েছেন। সমগ্র দেশ গালওয়ান উপত্যকায় এই আত্মবলিদানকে কুর্ণিশ করছে। প্রত্যেক ভারতবাসীর হৃদয়েই তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি রয়েছে কৃতজ্ঞতা। তাঁদের শৌর্য্য দেখিয়ে দিয়েছে যে, ভারত শান্তির প্রতি আস্থাশীল হলেও কেউ অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। দেশের সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনীর জন্য সবাই গর্বিত। তাঁরা আমাদের সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অতন্দ্র প্রহরী। তাঁরা সীমান্ত সুরক্ষার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, ‘দেশে ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন।করোনার বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব লড়াই করছে।ভারত এব্যাপারে সঠিক সময়ে, সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।’

অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি বলেছেন, ‘১০দিন আগে অযোধ্যায়র রাম মন্দির তৈরির সূচনা হয়েছে।বিচার ব্যবস্থারপ প্রতি আস্থা রেখে দেশবাসী দীর্ঘদিন এজন্য অপেক্ষা করেছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ভারতের আত্মনির্ভরতার অর্থ হচ্ছে স্বয়ং সক্ষম হয়ে ওঠা, তা সারা বিশ্ব থেকে দূরত্ব নয়। এর অর্থ হল, ভারত বিশ্ব বাজার ব্যবস্থায় সামিল থাকবে, সেইসঙ্গে নিজস্ব সক্ষমতারও স্বাক্ষর রাখবে।