নয়াদিল্লি: শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। তার আগে কার্যত নিঃশব্দে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-র সদস্যপদের জন্য সরকারিভাবে আবেদনপত্র জমা দিল ভারত। পাকিস্তান তাদের আবেদনপত্র দেওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লি এই আবেদন করেছে। ভারতের আবেদনপত্র গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হবে ৯ থেকে ১০ জুন, ভিয়েনায়, এনএসজি বৈঠকে।
কূটনৈতিক মহলের খবর, ভারতের নাম যাতে এনএসজি-র তালিকায় উঠে আসে, তার জন্য চেষ্টার কসুর করছেন না স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এনএসজি-র ৪৮ সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের তিনি ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছেন, যাতে ভারতের সদস্যপদ সমর্থন করেন তাঁরা।
এনএসজি-র সদস্যপদের জন্য অবশ্য আজ থেকে নয়, প্রায় ৭ বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। অন্যান্য দেশ ভারতের সদস্যপদ সমর্থন করলেও আপত্তি জানিয়েছে চিন। ভারতের বদলে তারা এনএসজি-তে সহযোগী দেশ পাকিস্তানকে দেখতে চায়। বেজিংয়ের বরফ গলাতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় গত মাসের শেষে চিন সফর করেছেন। চিন স্পষ্ট করে কিছু না বললেও জানিয়েছে, এ ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক স্তরে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালাবে তারা।
এখন শনিবার থেকে শুরু হতে চলা প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে এ নিয়ে বড়সড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হবে। দিনকয়েক পর শুরু হতে চলা ভিয়েনায় এনএসজি বৈঠকে ওয়াশিংটনের জোর গলায় সমর্থন নয়াদিল্লির কাজ অনেকটাই সহজ করে দিতে পারে বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। এরপর ২৪ জুন সিওলে এনএসজি প্লেনারিতে আলোচনার অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি থাকতে পারে।
ভারতের বক্তব্য, শক্তিক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ অ-জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার সহ পরিবেশরক্ষার জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি যদি নয়াদিল্লিকে রাখতে হয়, তবে তাকে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য হতেই হবে। তা ছাড়া, ভারত এনএসজি-র সদস্য হলে এ দেশে বাণিজ্যের পরিবেশ অনেক উন্নত ও স্থিতিশীল হবে, নয়াদিল্লিতে যে সরকারই আসুক না কেন।