নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ অতিমারীর জন্য পিছিয়ে গেল দেশে আদমসুমারি (সেনসাস) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (এনপিআর) কাজ। লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, ১৯৪৮ সালের সেনসাস আইনের অন্তর্গত দুটি পর্যায়ে ২০২১ জনগণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এই দুই পর্যায় যথাক্রমে --- ২০২০ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ হাউস লিস্টিং ও হাউসিং সেনসাস এবং২০২১ সালের ৯-২৮ ফেব্রুয়ারি নাগাদ পপুলেশন এনুমারেশন।
তিনি যোগ করেন, জনগণনার প্রথম পর্যায়ের পাশাপাশি ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনকেও আপডেট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
সেখানে প্রত্যেক পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জনতাত্ত্বিক ও অন্যান্য বিশদ তথ্য আপডেট করা ও এনপিআর আপডেট করার সময় সংগ্রহীত তথ্য নতুন প্রক্রিয়ায় সংগ্রহীত করা হবে না বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, এনপিআর শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য সেনসাসের প্রথম পর্যায়, এনপিআর আপডেট ও অন্যান্য সম্পর্কিত প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। মোদি সরকার জানিয়েছে, সিএএ কার্যকর করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
লোকসভা এবং রাজ্যসভার কমিটি সিএএ কার্যকর করার সময়সীমা ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাই অবধি বাড়িয়েছে। কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ভি কে শ্রীকন্দনের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, গতবছর জানুয়ারিতেই সিএএ আইনে পরিণত হয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিধি তৈরি করা হচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে-- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে এদেশে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যে সমস্ত ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যক্তি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করা হবে না এবং ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
২০১৯-এর ডিসেম্বরে সংসদে এই আইন পাশ হয়। এরপরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন। করোনা আবহে বিক্ষোভ থেমে গেলেও, এখনও কার্যকর হয়নি সিএএ।