শ্রীনগর: ভারতীয় জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদের মুখের মত জবাব পাচ্ছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতীয় সেনার গুলিবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১২জন পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১জন সেনা অফিসার ও ২ জওয়ান। পাকিস্তানের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দুধনিয়াল সেক্টরের ওপর নীলাম ভ্যালি রোডে চলন্ত বাসে ভারতীয় বাহিনীর গুলি এসে লাগায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে।

পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতীয় সেনার আক্রমণে তাদের ৩ সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন, অন্য দুজন হাবিলদার ও ল্যান্সনায়েক পর্যায়ের কর্মী। তবে এত কিছুর পরেও সংযত হয়নি পাকিস্তান। এরপরেও মাচিল, কেরান ও গুরেজ সেক্টরে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে গুলি চালাচ্ছে তারা। কিষাণগঙ্গা বাঁধ প্রকল্পের কাছে পাকিস্তানি গোলা এসে পড়ায় কর্মীরা কাজ ছেড়ে সুড়ঙ্গের মধ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। কাঞ্জেনওয়ান, কুফরি ও মালিকপোরা গ্রামেও নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গুলি ছুটে এসেছে, তবে এতে কারও প্রাণহানি ঘটেনি।

তবে ভারতীয় সেনার তীব্র প্রত্যাঘাতের পর ফের ডিজিএমও স্তরে আলোচনার প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেইমতো বুধবার সন্ধেয় ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ পাক ডিজিএমও সাহির সামসাদ মির্জার সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা সেরেছেন। তখন পাক ডিজিএমও অভিযোগ জানান, ভারতীয় আক্রমণে জনাকয়েক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। তাতে দুঃখপ্রকাশ করলেও ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যে সব জায়গায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, শুধু সে সব জায়গা লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছে সেনা। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পাক হামলায় যেভাবে ভারতীয় নাগরিক ও সেনাকর্মীদের প্রাণহানি ঘটেছে, সে ব্যাপারেও উদ্বেগপ্রকাশ করেছে ভারত।

ভারতীয় জওয়ানের অঙ্গচ্ছেদের বিষয়টি তুলে রণবীর সিংহ পাক ডিজিএমও-কে জানিয়েছেন, শক্ত হাতে সেনার রাশ ধরতে, যাতে এমন জঘন্য ঘটনা আর না ঘটে। তাহলেই নিয়ন্ত্রণরেখায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ভারতীয় প্রত্যাঘাতকে ‘নগ্ন আগ্রাসন’ ও ‘প্ররোচনা ছাড়াই গুলিবর্ষণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর দাবি, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে ভারত ‘ব্যর্থ’।