নয়াদিল্লি: পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ভারতের হাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চেয়েও আরও অনেক উন্নত বিকল্প উপায় আছে, দাবি সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের।


এক ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সেনা প্রধান মন্তব্য করেন, পাকিস্তানের কাছে হয়তো ভারতকে চাপে রাখার জন্যে যুদ্ধই সবচেয়ে সেরা উপায়। কিন্তু নয়াদিল্লির হাতে আরও অনেক উন্নতমানের প্রভাবশালী পন্থা আছে, যার সাহায্যে ভারত চাইলেই শিক্ষা দিতে পারে পাকিস্তানকে। ভারতীয় সেনাবাহিনী নিষ্ঠুর, নৃশংস নয়। তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য শত্রুপক্ষের সেনাবাহিনীর জওয়ানদের মাথা সংগ্রহ করা নয়। তাঁদের সেনা জওয়ানরা অনেক বেশি সংযত, নিয়মনিষ্ঠ। পাকিস্তান যেভাবে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শিরচ্ছেদ করছে, তার বদলা সঙ্গে সঙ্গেই নিতে পারে ভারত। কিন্তু সেই পথেই তাঁর জওয়ানরা হাঁটতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন রাওয়াত।

এদিকে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সইদ সালাউদ্দিনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীর আখ্যা দিয়েছে, সেপ্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করার থেকে নিজেকে সতর্ক রেখেছেন রাওয়াত। তিনি শুধু এটাই বলেছেন, আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার। তারসঙ্গে তিনি একথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি, যে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের মাথার দাম সরকারিভাবে ঘোষণা করা সত্ত্বেও ওই জঙ্গি নেতা বা তার দলের কার্যকলাপের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে তিনি তখনই কথা বলবেন, যখন সেখানে শান্তি ফিরবে। তার আগে কোনও বৈঠক সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হল, অশান্ত জায়গায় শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর তাঁর অধীনে ভারতীয় সেনারা সেই কাজটাই সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করছেন। প্রসঙ্গত, একটা বিষয়ে সেনা প্রধান একেবারেই স্পষ্ট, যেদিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা তাঁদের আশ্বাস দেবে, যে পুলিশ বা সেনা কনভয় আচমকা হামলা হবে না, সেদিনই বৈঠকের বিষয়ে ভাবা হবে। তবে কাশ্মীরের যুবসম্প্রদায় যারা জঙ্গি হওয়ার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্যে সচেষ্ট হয়েছে ভারতীয় সেনারা।

এদিকে সিকিমে ভারত-চিন সীমান্ত থেকে কিছু ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে চিন থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দুটি সেনা বাঙ্কার ধ্বংস করছে চিনা সেনারা। এখবরের সত্যতা অস্বীকার করে সেনা প্রধানের দাবি, ভাইরাল হওয়া ছবি সিকিমের নয়। কোথা থেকে, কীভাবে এই সমস্ত ছবি আসছে তিনি জানেন না?