নয়াদিল্লি: বিএসএফের হাতে ধৃত পাক কিশোরের বাবা-মাকে ভিসা দিতে প্রস্তুত ভারত। এ কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গত মে মাসে ওই কিশোরকে ধরে বিএসএফ। ওই কিশোর পাকিস্তান থেকে এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে বর্তমানে পঞ্জাবের ফরিদকোট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছে।

বিদেশমন্ত্রী একাধিক ট্যুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কিশোরের নাগরিকত্ব পাকিস্তানের স্বীকার করার অপেক্ষায় রয়েছে ভারত।

মেহর তারার নামে এক পাক সাংবাদিক ওই কিশোর সম্পর্কে সুষমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কয়েক মাস আগে হামাদ হাসান নামে ওই কিশোর পাকিস্তানের সিয়ালকোটের পাসুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফরিদকোটের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১২ বছরের এক কিশোর রয়েছে। গত মে মাসে তাকে ধরেছিল বিএসএফ।  ওই কিশোরের নাগরিকত্ব পাকিস্তানের স্বীকারের অপেক্ষায় রয়েছি।
সুষমা আরও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে যে তথ্য রয়েছে ততে ওই কিশোর ২০১৩ সালে নিখোঁজ হয়ে যায়। তাকে ২০১৭-তে বিএসএফ ধরে।

বিদেশমন্ত্রী আরও বলেছেন, ওই কিশোরের বাবা-মা যদি তাকে নিজেদের সন্তান বলে মনে করে তাহলে ভারত তাঁদের ভিসা দিতে প্রস্তুত। এরপর তাঁরা ভারতে এসে ওই কিশোরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।











বিদেশমন্ত্রী মেহর তারারকে আরও জানিয়েছেন যে, আরও পাঁচ পাকিস্তানি রয়েছে। তারা কথা বলতে ও শুনতে পারে না। তাদের মধ্যে তিনজন অমৃতসরের ট্রানজিট শিবিরে রয়েছে। পাকিস্তান তাদের নাগরিকত্ব জানায়নি।