নয়াদিল্লি: পাঠানকোট হামলার পর ষড়যন্ত্রীদের সাজা দিতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। ফলে যেটুকু ছিঁটেফোঁটা বিশ্বাস দিল্লির ইসলামাবাদের শাসকদের ওপর ছিল, তাও চলে গেছে। পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ফোনে এ কথাই বলেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। উরি সন্ত্রাসের পর ৩ তারিখ প্রথম কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। জানা গেছে, মিনিটদুয়েকের কথায় দোভাল পাক এনএসএ নাসির খান জাঞ্জুয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের নিজের স্বার্থরক্ষা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ওপারে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করাও এই অধিকারের মধ্যে পড়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কেও জাঞ্জুয়াকে দিল্লির অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।


পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর তদন্তের জন্য একটি পাকিস্তানি দলকে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার অনুমতি দেয় দিল্লি। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানে তদন্তের কাজ বিন্দুমাত্র এগোয়নি। নিজেরা পাঠানকোটে হামলার জায়গা ঘুরে ফিরে দেখে গেলেও ভারতীয় তদন্তকারীদের পাকিস্তানে গিয়ে জঙ্গি যোগাযোগ পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়নি ইসলামাবাদ। দোভাল তাঁর স্বল্প বক্তব্যে পাক এনএসকে-কে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, এত কিছুর পর পাক শাসকদের ওপর ভারতীয়দের যে অল্পস্বল্প বিশ্বাস ছিল, তাও উবে গেছে পুরোপুরি।

দুজনের মধ্যে মূলত এ বিষয়ে আলোচনা হলেও পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশনীতি উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ দাবি করেন, দুই এনএসএ-র মধ্যে আলোচনা হয়েছে উত্তেজনা কমানো নিয়ে। এ দেশে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার আবদুল বাসিতও একই কথা বলেন। কিন্তু সরকারি সূত্রের খবর, পাকিস্তান যতই উত্তেজনা কমানোর আড়ালে সেনা সংখ্যা কমানোর সওয়াল করুক, ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটুও কমাবে না তারা। পাকিস্তানের ক্রমাগত গুলি বর্ষণ ও ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।