শ্রীনগর: পাক অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের, এই মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বেফাঁস কথা বললেন ফারুক আবদুল্লা। উরির বারামুলায় দলীয় কর্মীদের সভায় তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দাবি ছেড়ে তা ফিরে পাওয়ার লড়াই থামিয়ে দিক ভারত।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি বলেন, আর কতদিন আমরা বলতেই থাকব যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের? এটা ওদের পৈত্রিক জায়গা নয়। ওটা পাকিস্তান, আর এটা মানে জম্মু ও কাশ্মীর ভারত।
৭০ বছর কেটে যাওয়ার পরও ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পায়নি বলেও মন্তব্য করেন ফারুক। বলেন, এখন ওরা বলছে, এটা আমাদের জায়গা। ভারত বলছে, ওটা আমাদের জায়গা। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পেতে হবে। আমরাও বলছি, পাকিস্তানের হাত থেকে কেড়ে নিতে হবে। আমরা সব দেখছি। ওরা কিন্তু দুর্বল নয়, চুড়ি পরে বসে নেই। ওদের হাতেও পরমাণু বোমা আছে। যুদ্ধের কথা ভাবার আগে আমাদের কিন্তু মনে রাখতে হবে, আমাদেরও বেঁচে থাকতে হবে।


/code>

গত সপ্তাহে শ্রীনগরের এমপি বিতর্কের ঝড় তুলে মন্তব্য করেন, শুধু ভারতের লোকজন নয়, গোটা দুনিয়াকে সোজা কথাটা বলছি, কাশ্মীরের যে অংশটা পাকিস্তানে রয়েছে, সেটা পাকিস্তানের আর এদিকের অংশটা ভারতের। ভারত, পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে যত যুদ্ধই করুক, এটা বদলাবে না।
এই মন্তব্যের জেরে অসন্তুষ্ট হয় বিজেপি, বিহারে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। ফারুক বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাও সেটি করেছেন একজন মুসলিম। ঈশ্বর ওঁকে রক্ষা করুন। ওঁর অবস্থাটা দেখুন। উনি কাশ্মীরের পরিস্থিতি জানেন না, আমাদের অবস্থাও বোঝেন না। পাকিস্তান বোমা ফেললে কাশ্মীরে আমআদমি, সেনা জওয়ানরা মরবে। এখান থেকে বোমা মারলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও আমাদের লোকজন, সেনা মরবে। আর কতদিন এই প্রলয় চলতে থাকবে, নিরপরাধ মানুষের রক্তক্ষয় হয়েই যাবে?
এমন একটা দিন আসবে যখন নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবাধে মানুষ আসা যাওয়া করতে পারবেন, আশা প্রকাশ করেন ফারুক। বলেন, একটা দিন আসবে যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে লোকে এমন ভাবে আসাযাওয়া করবেন যেন এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যাচ্ছেন। এমন দিন আসবে, এই বিশ্বাস রাখুন, আর তা না হলে এ দেশে শান্তিই আসবে না।