বেঙ্গালুরু: দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রদের উপগ্রহ ‘উপহার’ দিল ভারত। শুক্রবার, জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি-এফ০৯) রকেটে চেপে মহাকাশে সফলভাবে পাড়ি দিল সাউথ এশিয়া কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট (এসএএস) জিস্যাট-৯।



এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার (এসডিএসসি) থেকে জিএসএলভি-এফ০৯ রকেটের সফল উৎক্ষেপণ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহ।



ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সফল উৎক্ষেপণকে আতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, এর ফলে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত খুলে গেল। একইসঙ্গে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নও হবে।



জিএসএলভি-এফ০৯ অভিযান হল জিএসএলভি-র ১১তম উৎক্ষেপণ। এদিন উৎক্ষেপণের মোট ভর ছিল ২২৩০ কেজি। জিস্যাট-৯ হল একটি জিওস্টেশনারি যোগাযোগ স্যাটেলাইট যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করবে।


মূলত, ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলির নিজেদের মধ্যে ‘হটলাইন’ যোগাযোগ ও বিপর্যয় সহায়তা প্রদান করবে এই উপগ্রহ। এছাড়া, টিভি, ডিটিএইচ, ভিস্যাট, টেলি-শিক্ষা ও টেলি-মেডিসিনের মতো ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে জিস্যাট-৯ কে।


উপগ্রহ নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৩৫ কোটি টাকা। সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত আটটি দেশের মধ্যে সাতটি দেশ (পাকিস্তান বাদে) এই প্রকল্পে সহযোগিতা করেছে। এরা হল—ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভূটান। নিজেদের পৃথক মহাকাশ গবেষণা আছে দাবি তুলে প্রকল্প থেকে পিছিয়ে আসে পাকিস্তান।



গত ৩০ তারিখ মন কি বাত অনুষ্ঠানে উপগ্রহটিকে ভারতের তরফে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে ‘বহুমূল্য উপহার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন মোদী। মোদীর জানিয়েছিলেন, এই উপগ্রহ তাঁর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর প্রতিফলন।