নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে ‘নো মানি ফর টেরর’ সম্মেলনের আয়োজন করবে ভারত। প্রায় ৭০টি দেশকে নিয়ে এই মন্ত্রী-পর্যায়ের এই আন্তঃদেশীয় গোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীর মূল লক্ষ্য হল সন্ত্রাসে অর্থ জোগান, সন্ত্রাস ও মৌলবাদের মোকাবিলা করা।
২০১৮ সালে গঠন হওয়া ‘নো মানি ফর টেরর’ গোষ্ঠী আদতে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ছোট সংস্করণ। এফএটিএফ-এর মূল উদ্দেশ্য হল সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে ব্যবহারের জন্য অর্থ জোগানের উৎসের খোঁজ করা এবং তার মোকাবিলা করা।
এবছরই প্রথমবার মিলিত হয়েছে ‘নো মানি ফর টেরর’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। মেলবোর্নে চলছে গোষ্ঠীর তিনদিন-ব্যাপী প্রথম সম্মেলন। সেখানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের দল। ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(এনআইএ)র অধিকর্তা ওয়াই সি মোদিও।
সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেড্ডি জঙ্গি-গোষ্ঠীকে সরকারিস্তরে অর্থ জোগানের বিষয়টি উত্থাপন করে নাম না করে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন। বলেন, ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আজও আল-কায়দার অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। তার অনেক শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করছে। একইভাবে, তিনি সতর্ক করেন, আবু-বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পর ইসলামিক স্টেট নির্মূল হয়ে যাবে, এমনটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
এদিন ভারতরে তরফে চার-দফা প্রস্তাব পেশ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে উঠে এফএটিএফ-এর বিধি কার্যকর করা। এই প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হল-- পাকিস্তানের মতো যে সব দেশ জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও চিনও এই গোষ্ঠীর সদস্য।