নয়াদিল্লি:  শিল্পপতি বিজয় মাল্যকে ভারতে প্রত্যর্পণ করাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র এখন থেকেই কোমর বাঁধতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া।


কোনও অপরাধী বিদেশে চলে গেলেই, আর কখনই তার নাগাল পাওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি ধারণাকে বদলাতে চাইছে বর্তমান সরকার।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মাল্যকে হাতে পেতে ব্রিটেনের আদালতে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই ও লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশন। ওই সুত্র জানান, আমরা ওই ধারনাকে পাল্টাতে চাই। এর জন্য মাল্যকে হাতে পাওয়া ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ।


মাল্যকে কীভাবে ও কোন উপায়ে ফেরত আনা যায়, এখন সেই রাস্তা তৈরি করতে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেন, মাল্যকে কীভাবে দেশে ফেরত এনে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, এথন সেই পন্থা বের করতে তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


যদিও, বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের হাতে এত তাড়াতাড়ি আসবেন না মাল্য। এর জন্য হয়ত ২-৩ বছর সময়ও লাগতে পারে। কারণ, প্রত্যর্পণ চুক্তির ফাঁকফোঁকর সম্পর্ক যথেষ্টই ওয়াকিবহাল মাল্য। যে কারণে, তিনি পালানোর জন্য ব্রিটেনকেই বেছেছিলেন।


বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৩ সালে। কিন্তু সেই চুক্তির মধ্যে এমন কিছু ধারা বা অনুচ্ছেদ আছে যা অভিযুক্তকে আইনি সাহায্য নিয়ে বাঁচার সুযোগ করে দেয়।


যেমন চুক্তির ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে অভিযুক্তকে বাঁচার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এমন অনেক ধারা আছে, যার জেরে অভিযুক্তর প্রত্যর্পণের অনুরোধ খারিজ করা যায়।


প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপ করার দায়ে অভিযুক্ত ৬১ বছরের মাল্যকে এদেশে ‘ফেরার’ ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই মর্মে একাধিক মামলা সামান্তরাল চলছে।


এদিন সকালে মধ্য লন্ডনের একটি পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিলে, তাঁকে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। যদিও, অবশ্য, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে যান এই লিকার ব্যারন।