নয়াদিল্লি: সিকিম সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই আগামী সোমবার থেকে ভারত মহাসাগরে শুরু হচ্ছে বার্ষিক ভারত, জাপান ও আমেরিকার যৌথ নৌমহড়া। মহড়ার জন্য ইতিমধ্যেই যুদ্ধজাহাজ আসা শুরু হয়েছে। এবার এই যৌথ মহড়া নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল চিন। এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক প্রতিক্রিয়ায় চিন সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তৃতীয় কোনও দেশ এই মহড়ার লক্ষ্য নয় বলেই আশা করছে তারা। চিন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার কথাও বলেছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির স্বাভাবিক সম্পর্ক ও সহযোগিতায় আপত্তির কিছু নেই।
১৯৯২-তে শুরু হয় মালাবার মহড়া। প্রথমে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই মহড়ায় অংশ নিত। ২০১৪ থেকে মহড়ায় যোগ দিয়েছে জাপান। বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরের কাছেই ভারত মহাসাগরে এই মহড়া হয়। দক্ষিণ চিন সাগরকে তাদের অধিকারভূক্ত বলে দাবি করে চিন।
মালাবার মহড়ায় অংশ নেমে ১২ টিরও বেশি যুদ্ধপোত, ডুবোজাহাজ ও বিমান। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে সম্ভাব্য টহলদারি সহ যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যেই তিনটি দেশের শক্তিশালী নৌবাহিনীর এই মহড়া।
২০১৩ থেকে ভারত মহাসাগরে কমপক্ষে ছটি ডুবোজাহাজ মোতায়েন করেছেন চিন। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা যুদ্ধ জাহাজের নোঙর ফেলা এবং পাকিস্তানের ওপর বেজিংয়ের প্রভাব বৃদ্ধি ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তের সংযোগস্থলে ডোকোলাম এলাকায় অচলাবলস্থা চলছে ভারত ও চিনের মধ্যে। ভুটানের কাছে ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চিন সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে গেলে ভারত বাধা দেয়। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, ডোকালাম ভুটানের। চুক্তি অনুযায়ী, ভুটানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার কথা ভারতের।


চিনকে অবিলম্বে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলেছে ভূটানও। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বেজিং। ভারত বলেছে, চিনা জওয়ানরা ২টি অস্থায়ী ভারতীয় সেনা ছাউনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
পাল্টা চিন দাবি করে, ভারতীয় সেনা ডোকালামে ঢুকে পড়েছে। ভারতকে অবিলম্বে ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলে চিন। ভারত চিনের ওই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।