পহেলগাম (জম্মু ও কাশ্মীর): শান্তি চাইলে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের পাঠানো বন্ধ করা উচিত পাকিস্তানের। সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এমনটাই অভিমত। তিনি আজ এখানে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভারত সীমান্তে শান্তি চায়। কিন্তু পাকিস্তান লাগাতার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে, যার ফলে জীবনহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পাকিস্তান সত্যিই শান্তি চাইলে আমরা বলব, আমাদের দিকে জঙ্গি অনুপ্রবেশে ইতি টেনে প্রথম পদক্ষেপটা নিক ওরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যুদ্ধবিরতি ঘটানো হয় মূলত অনুপ্রবেশে মদত দিতেই। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমাদেরও জবাব দিতে হয়। চুপ করে তো বসে থাকতে পারি না। সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন হলে আমাদের দিক থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শান্তির স্বার্থে সীমান্তের ওপারের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের অবসান জরুরি বলে অভিমত জানান সেনাপ্রধান। বলেন, সীমান্ত পেরিয়ে পাচার করা সন্ত্রাস বন্ধ করা প্রয়োজন। যেসব শিবিরে জঙ্গিদের ট্রেনিং দেওয়া হয়, যেখান থেকে জম্মু ও কাশ্মীর, ভারতে অস্ত্রশস্ত্র পাচার হচ্ছে, সব বন্ধ করতে হবে। সেটা হলেই সীমান্তে শান্তি বহাল থাকবে, আশ্বাস দিতে পারি।
সেনাপ্রধান এও বলেন, শান্তি থাকলে পরিবেশ, পরিস্থিতি কেমন থাকে অর্থাত্ শান্তির সুফল কী, তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে বোঝাতেই জঙ্গি দমন অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। সেখানে ঠিক এখন যে শান্তির আবহাওয়া আছে, তাতে স্থানীয় মানুষজনও খুশি বলে আমার মনে হয়।
গত ১৬ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করে, রমজান মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী দমন অভিযান স্থগিত থাকছে। তবে আক্রান্ত হলে বা নিরপরাধ মানুষের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতের অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীর থাকবে। উপত্যকায় শান্তি বহাল থাকলে সেনাবাহিনীও একতরফা যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার কথা ভেবে দেখবে বলে জানান সেনাপ্রধান। বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, এই শান্তির পরিবেশ চলতে থাকলে আমরাও জঙ্গিদমন অভিযান স্থগিত রাখা বহাল রাখার কথা ভেবে দেখব। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা কিছু ঘটিয়ে ফেললে আমাদেরও যু্দ্ধবিরতি বা জঙ্গিবিরোধী অভিযান বন্ধ রাখার ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে।
সেনার পাঁচটি গুডউইল বা সদ্ভাবনা স্কুলে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে শিক্ষার কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রাওয়াত।