নয়াদিল্লি:  দুর্গত এলাকায় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার থেকে খাবার ফেলার ছবি আমাদের চেনা। তবে এবার সেই হেলিকপ্টারই টাকার বাহন। এই হেলিকপ্টারে রয়েছে নোটভর্তি সিন্দুক। তাতে ভরা আছে হাজার কোটি টাকার নোট। দ্রুত এটিমে পৌঁছে দিতে এই নোটই এখন এয়ারলিফট করা হচ্ছে।
এয়ারলিফটের অর্থ এক জায়গা থেকে মানুষ বা পণ্য আকাশপথে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। ঠিক যেভাবে ‘এয়ারলিফট’ ছবিতে আপনারা দেখেছেন, ইরাকে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার সেই পদ্ধতি।
এখন সারা দেশে নোটের আকাল কাটাতে ঠিক সেই পথেই ছাপাখানা থেকে আপনার বাড়ির কাছের এটিএমে নোট পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে সরকার। ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় হেলিকপ্টারে করে নোট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মুহূর্তে দেশে যা পরিস্থিতি, তাতে নোট পৌঁছতে এক ঘণ্টা দেরি হলেই মারাত্মক অবস্থা হবে। তাই সময় বাঁচাতে রাস্তার বদলে আকাশপথকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিজিওনাল অফিস পটনা থেকে দু’টি এমআই সেভেনটিন হেলিকপ্টারে করে জামশেদপুর ও বোকারোতে টাকা পাঠানো হয়। ১০০, ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোট ভর্তি সেই সিন্দুকের ওজন ছিল দুই টন।
দেশের অন্যান্য শহরেও এরপর এভাবেই দ্রুততার সঙ্গে টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। যাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অন্তত কিছুটা হলেও কমে।