৪৪ বছরের অমিত দাবি করেছে, ভারতে থাকা আত্মীয়দের সাহায্য করতে এই জালিয়াতি চক্রে সে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ও পরিচয়পত্র চুরি করে কোটি কোটি ডলার হাতিয়েছে তারা। সস্তায় বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করত সে। এর মাধ্যমে খদ্দেরদের টাকা যেমন হাতানো হত, তেমনই তাঁদের হোটেলের খরচ ও বিমানভাড়া মেটানো হত চোরাই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে। তারপর লম্বা বিল ধরিয়ে দেওয়া হত তাঁদের। ওই এজেন্সির হাজারের বেশি খদ্দের দেখেছেন, তাঁদের সফর যত জায়গায় না হয়েছে, তার থেকে ভাড়া এসেছে অনেক বেশি।
ভারতে আমেরিকান এক্সপ্রেসে কর্মরত একজনের সহায়তায় ওই চক্র আড়াইকোটির বেশি জাল ক্রেডিট কার্ড তৈরি করে। তৈরি হত জাল পাসপোর্টও। এমনই একটি পাসপোর্টে টিভি অভিনেত্রী লরা ভ্যান্ডারভুর্টের ছবি থাকায় তা এক এফবিআই এজেন্টের নজরে পড়ে। লরা অভিনীত একটি টিভি সিরিয়াল থেকে তাঁর ছবিটি নেওয়া হয়। তদন্ত শুরু হলে ফাঁস হয় কোটি কোটি ডলার প্রতারণার এই চক্র।
ধৃত অমিত চৌধুরী ১৯৯২ সাল থেকে আমেরিকায়। তদন্তে সাহায্য করছে সে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে ৫জন গ্রেফতার হয়েছে। ভারত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২জনকে।