মীরাট: আমেরিকার টেক্সাসের ডিটেনশন সেন্টারে ডিসেম্বর থেকে বন্দি এক ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। মেয়েটিকে অনুসরণও নাকি করতেন তিনি।

অভিযুক্তের নাম তরুণ কে ভরদ্বাজ, বয়স ৩৮। যদিও তাঁর দাবি, তিনি জাতি বিদ্বেষের শিকার, কোনও অপরাধ করেননি। এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রীকে তাঁর ভাল লাগত বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির পরিচয়বাহী বলে তাঁর দাবি, কারণ যে মেয়েটিকে উত্যক্ত করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তাঁকে তাঁর ভাল লাগত, সুতরাং তাঁর সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা কোনও অপরাধ নয়।

হিউস্টনের ভারতীয় দূতাবাস কর্মীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। আদালতে শুনানি শেষ হলে তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বুলন্দশহরে থাকে ভরদ্বাজের পরিবার। তাদেরও দাবি, তিনি জাতিবিদ্বেষের শিকার।

ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার থেকে পিএইচডি করার পর ২০০৭ সালে গবেষণা করতে আমেরিকা যান ভরদ্বাজ। টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটিতে পরমাণু নিয়ে গবেষণা করতেন তিনি।

২০১৫-র জানুয়ারি থেকে অগাস্টের মধ্যে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তখনও তাঁর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে বিরক্ত করার অভিযোগ ওঠে। বন্ডে মুক্তি পান তিনি কিন্তু তারপরেও বারবার এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।