নয়াদিল্লি: সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢোকার পর আর ফিরে আসেননি তিনি। জানুয়ারি মাসে তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। সেই চান্দু বাবুলাল চৌহানকে এবার সেনা কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করল।


২০১৬-র ২৯ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই অপারেশনে ছিলেন না জওয়ান চান্দু বাবুলাল। কিন্তু সে রাতেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কিছুক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চলে যান তিনি। জানুয়ারিতে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসেন আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে। তারপর ভারতীয় সেনা তাঁকে গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পরে পাক সেনার মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস এক বিবৃতিতে দাবি করে, ঊর্ধ্বতন সেনা আধিকারিকদের আচরণ নিয়ে ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান চৌহানের ক্ষোভ ছিল, তাই নিজের ছাউনি ছেড়ে নিয়ন্ত্রণরেখা টপকে চলে যান তিনি। তারপর পাক সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

যদিও চৌহানের দাবি ছিল, ভুল করেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাতে তিনি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়েছিলেন, অন্য উদ্দেশ্য ছিল না।

সেনা আদালত তাঁকে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে, জরিমানা হিসেবে ২ বছর পেনশন পাবেন না তিনি। শোনা যাচ্ছে, নিজের ইচ্ছেতেই তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাতে নিজের ছাউনি ছেড়ে ওপারে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারবেন।

চৌহান মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার বোরভিহির গ্রামের বাসিন্দা। পাক সেনার হাতে নাতি ধরা পড়েছেন শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর ঠাকুমার মৃত্যু হয়। তাঁকে উদ্ধারের জন্য পাক সেনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত ভারতীয় সেনা।