বেজিং ও নয়াদিল্লি: পরমাণু সরবরাহকারী রাষ্ট্রের (এনএসজি) গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দৌড়ে ধাক্কা খেল ভারত। চিন জানিয়েছে, সোলে শুরু হওয়া বার্ষিক সম্মেলনে ভারতের অন্তর্ভুক্তির ইস্যুটি আলোচ্য বিষয়বস্তুতে নেই। যদিও, বেজিংয়ের এই কথা নিয়ে চিন্তিত নয় নয়াদিল্লি।

এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তিতে চিন যে সায় দেবে, সেই বিষয়ে গতকালই আশা প্রকাশ করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এমনকী, চিনের সমর্থন আদায় করতে বেজিংয়ে পাঠানো হয় বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করকে। কিন্তু, তার ২৪-ঘণ্টা পার করতে না করতেই বেজিংয়ের গলায় ধরা পড়ল ভিন্ন সুর।

এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভারতের মতো পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি (নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি বা এনপিটি) স্বাক্ষর না করা দেশগুলির এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এখনও মতৈক্যে পৌঁছতে পারেনি গোষ্ঠীর বর্তমান সদস্যরা।

সোমবার থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার সোলে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীর পাঁচদিন-ব্যাপী বার্ষিক প্লেনারি। তার আগে এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনউইং জানিয়ে দেন, সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় ভারতের ইস্যুটি স্থান পায়নি।

গতকালই, সুষমা বলেছিলেন, ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছে না চিন। শুধু নিয়ম ও প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছে। আমি আশাবাদী, আমরা চিনকে বোঝাতে পারব। তিনি যোগ করেন, ভারত সম্ভবত এবছরই এনএসজি-তে অন্তর্ভুক্ত হবে।

এদিকে, বেজিংয়ের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারত এখনও আশাবাদী। আগামী ২৪ তারিখ বসছে প্লেনারির মূল বৈঠক। তার আগের দিনই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠকে যোগ দিতে তাশখেন্ত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সম্মেলনের অন্যতম সদস্য হল চিন। বৈঠকে মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা হবে। সেখানেই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে এনএসজি ইস্যুটি উঠবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।