নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ দেশে সবথেকে গ্রহণযোগ্য মুখ এখনও সেই ইন্দিরা গাঁধী। বললেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। কঠিন সিদ্ধান্তগ্রহণে ইন্দিরা দ্বিধা করতেন না বলে মন্তব্য করে বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্বকে প্রণব ঘুরিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর জন্মদিনে তাঁর জীবন ও কাজ নিয়ে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিংশ শতাব্দীতে গোটা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ছিলেন ইন্দিরা। তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও এ দেশের মানুষ তাঁকে সবথেকে গ্রহণযোগ্য প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করেন। ১৯৭৮-এ কংগ্রেস দ্বিতীয়বার ভেঙে যাওয়ার পরেও নিজের কঠিন সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতার জেরে তিনি দলকে একের পর এক নির্বাচনী জয় এনে দেন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্নাটকে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস, মহারাষ্ট্রে একক বৃহত্তম দলের মর্যাদা পায়। রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যটি ঘুরিয়ে বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ইন্দিরার ওপর বইটি সম্পাদনা করেছেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা। সূচনা লিখেছেন সনিয়া গাঁধী, যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে ছিলেন না। ছিলেন রাহুল গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি।

দেশের স্বার্থে ইন্দিরা একের পর এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রণব। যেভাবে সেনা ঢুকিয়ে তিনি স্বর্ণমন্দির জঙ্গিমুক্ত করান, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৪-র অপারেশন ব্লু স্টারের প্রসঙ্গ টেনে প্রণব বলেন, ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তিনি স্বর্ণমন্দিরে কিছু করতে ভয় পাচ্ছিলেন। দলীয় বৈঠকেও তিনি বলেন, সম্ভবত এটাই তাঁদের নেওয়া সবথেকে বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত। কিন্তু কখনও কখনও ইতিহাস এমন কাজ দাবি করে, যা পরে যদি সঠিক প্রমাণিত নাও হয় কিন্তু সেই সময়ে তা ছাড়া আর উপায় ছিল না।