ইন্দৌর: অনলাইনে মারণ-খেলার শিকার হতে গিয়ে অল্পের জন্য বাঁচল ১৩ বছরের এক কিশোর। কুখ্যাত ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করার জন্য ইন্দৌরে একটি চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোর। কিন্তু স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের চেষ্টায় কোনওক্রমে প্রাণ রক্ষা হল তার। ইন্দোরের চামেলি দেবী স্কুলে গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে। স্কুল চলাকালেই স্কুলভবনের চারতলার বারান্দার রেলিংয়ের ওপর উঠতে দেখা যায় অষ্টম শ্রেণীর ওই পড়ুয়াকে। সঙ্গে সঙ্গে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা ছুটে নিয়ে সেখানে থেকে তাকে নামিয়ে আনেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার দ্বিবেদী বলেছেন, ব্লু হোয়েল গেম খেলতে গিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই পড়ুয়া। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাবার মোবাইলে ব্লু হোয়েল গেম খেলছিল সে।

স্কুলের প্রিন্সিপাল সঙ্গীতা পোদ্দার বলেছেন, পুলিশ ছাত্রটিকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই ছাত্রকে ২ কোটি টাকার পুরস্কারের টোপ দেওয়া হয়েছিল।

ওই বিপজ্জনক গেমে প্রথমে কাগজে একটি তিমির ছবি আঁকতে বলা হয়। পরে শরীরে তিমি সেঁটে দিতে বলা হয়। এরপর ভয়ের সিনেমা দেখার মতো আরও কয়েকটি কাজ দেওয়া হয়। ধাপ যত বাড়তে থাকে ততই তা হয়ে ওঠে আরও বিপজ্জনক— যেমন হাত কেটে তাতে কিছু লেখা বা আঁকা। আর শেষে ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবন শেষ করে দেওয়া। তবে মুখে করেছি বললে চলবে না। সব কিছুর ভিডিও তুলে প্রমাণ পাঠাতে হবে।

ইউরোপ ও রাশিয়ায় এই গেম দেড়শরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  তারা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, এমনকী অনলাইনে তাদের গতিবিধির ওপরও খেয়াল রাখা উচিত।